সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাওলাট আইন

      ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ভারত সরকার ভারতে বিপ্লবী আন্দোলনের প্রকোপ ও গণ অসন্তোষ দমনের জন্য এবং তার সম্ভাব্য প্রতিরোধ সম্পর্কে বিচার বিবেচনার জন্য ভারত সরকারের আইন সচিব রাওলা টে র নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি নিয়োগ করেন । এটি রাওলাট কমিটি নামে খ্যাত । রাওলাট কমিটি ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে তার একাংশ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিপ্লবী কার্যকলাপের গতিধারা এবং অপর অংশে বিপ্লবী আইনের জন্য যুদ্ধকালীন অবস্থায় সন্ত্রাসবা দী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেনি । সুতরাং শান্তির সময় বিশেষ আই নের প্রয়োজনীয়তা আছে তা উপলব্ধি করে রাওলাট কমিটি সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ১৮ই মার্চ ভারত সরকার রাওলাট আইন পাস করে । দুটি বিল নিয়ে রাওলাট আইন রচিত হয়েছিল । প্রথমত রাজদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য একটি নতুন বিচারালয় গঠন করার প্রস্তাব করা হয় । এই আইনের বলে রুদ্ধদ্বার আদালতে বিনা উকি লের সাহায্যে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিচার করে অন্তরীণ বা বিনা বিচারে আটকে রাখার ব্যবস্থা করা হয় । মোটকথা ভারত রক্ষা আইন যুদ্ধশেষে উঠে গেলেও রাজদ্রোহ দমনে...

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি

    রেনেসাঁ যুগে যে বুদ্ধিবিভাষার উত্থান ঘটেছিল লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ছিলেন তার পথ প্রদর্শক । তিনি ১৪৫২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে পরলোক গমন করেন । এই সময়সীমায় তিনি ছিলেন একাধারে চিত্রকর , ভাস্কর , সঙ্গীতজ্ঞ, গণিতজ্ঞ , দার্শনিক এবং বৈজ্ঞানিক ।   শিল্প স্থাপত্যে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি অসাধারণ শিল্পী প্রতিভার পরিচয় দিয়েছিলেন । তাঁর নকশার শক্তি আর বলিষ্ঠতা ও প্রকৃতি র যাবতীয় খুঁটিনাটি উপাদানের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম উপস্থাপনার পাশাপাশি তাঁ র শিল্পকর্মে দেখা গিয়েছিল রীতিনীতি সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান , সুষম বিন্যাসের স্পষ্ট ধারণা , পরি নি তিবোধ , মহ ৎ পরিকল্পনা আর স্বতস্ফূর্ত সৌন্দর্যবোধ । তাঁর আঁকা চরিত্রায়নের সচলতা দেখলে মনে হয় যেন শ্বাস গ্রহন করছে আর ছাড়ছে । তিনি বিশ্বাস করতেন যে একজন চিত্রশিল্পীর হাতের মুঠোয় ধরা আছে গোটা বিশ্ব জগত ; যদি তিনি উপত্যাকা চান অথবা পাহাড় চূড়া থেকে আবিষ্কার করতে চান বিস্তীর্ণ সমভূমি আর তারও ওপারে দিকচক্রবালে সমুদ্র দেখতে চান , তবে সেসব তার আয়ত্তেই আছে । তাঁ র অঙ্কিত চিত্রগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘ ভার্জি...

তেলেঙ্গানা কৃষক বিদ্রোহ

      স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত একটি উল্লেখযোগ্য কৃষক বিদ্রোহ হল তেলেঙ্গানা বিদ্রোহ । ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে হায়দ্রাবাদ দেশীয় রাজ্যের প্রায় ১৬০০০ বর্গমাইল ব্যাপী ৩০০০ গ্রামের ৩০ হাজার কৃষক এই বিদ্রোহের শামিল হয়েছিল । পাঁচ বছর স্থায়ী এই বিদ্রোহের একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল গেরিলা কায়দায় সংগ্রাম পরিচালনা করা ।   ইংরেজ আমলে হায়দ্রাবাদ ছিল একটি বৃহৎ দেশীয় রাজ্য এবং এর শাসক ছিলেন নিজাম । হায়দ্রাবাদের পূর্বদিকে আটটি তেলেগুভাষী জেলা নিয়ে গঠিত হয়েছিল তেলেঙ্গানা অঞ্চল । তেলেঙ্গানার অধিকাংশ প্রজাই ছিল হিন্দু । উর্দুভাষী মুসলমান শাসক গোষ্ঠী স্থানীয় কানাড়ী, তেলেগু ও মারাঠা ভাষী হিন্দু প্রজাদের উপর আধিপত্য কায়েম করে । তেলেঙ্গানার কৃষকরা সামন্ততান্ত্রিক অমানুষিক অত্যাচারের শিকার হয় এবং তাদের উপর বিভিন্ন প্রকার বেআইনী কর চাপানো হয় । অধিকাংশ কৃষকের নিজস্ব কোন জমি ছিল না । মুসলমান ও উচ্চবংশজাত হিন্দু দেশমুখ ও জায়গিরদার রা কৃষকদের উপর অকথ্য অত্যাচার করত , তাদের কাছ থেকে নানা ধরনের জ...

মুদ্রণ শিল্প রেনেসাঁসের পথ প্রস্তুত করেছিল

মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার এবং মুদ্রণ ব্যবস্থার প্রচলন নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী ঘটনা ছিল । এই ঘটনার ঐতিহাসিক তাৎপর্য হল এই যে মুদ্রণ ব্যবস্থা সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল । এই মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার ইউরোপের চিন্তা ধারা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিল । ধ্রুপদী পুস্তকগুলির প্রতিলিপিকরণ এবং তার বিতরণের যুগান্তরকারী রূপান্তর ঘটে ছাপাখানা আবিষ্কা রে র পর । পনে রো শতকের দ্বিতীয়ার্ধে পশ্চিম ইউরোপের মানুষ মুদ্রণয ন্ত্রে ছাপা বই পড়তে পেরেছিল । সচল ধাতুর হ রফে সবার আগে ছাপা যেসব বই পাওয়া গেছে সেসব প্রকাশিত হয়েছিল জার্মানির মে ইনস শহরে । সচল ধাতুর হর ফ ও ফলা মুদ্রণযন্ত্র আত্মপ্রকাশ করেছিল ওই মেইন শহরের ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দের নাগাদ । সর্ব প্রথম ছাপাখানা বা মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করেন জোহানেস গুটেনবার্গ । তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাপার ধাতব অক্ষর ইংরেজি বর্ণমালা বিভাজন , বর্ণগুলিকে বিভিন্ন খা পে রাখার নিয়ম ইত্যাদি উদ্ভাবন করে পুস্তক উৎপাদনের ব্যাপারে বিপ্লব আনেন । Engine – F Rice এর গবেষণায়ও সমকালীন নথিপত্র...