সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নতুন বিশ্ব আবিষ্কারের কারণ

      মধ্যযুগীয় বিশ্বের ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কারে ঘেরা গ ন্ডি বদ্ধ জীবনের বাইরে মানুষকে টেনে আনতে পেরেছিল সমুদ্রযাত্রা এবং নতুন দেশ আবিষ্কারের প্রবণতা । সামুদ্রিক অভিযানের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন দেশ আবিষ্কা রের ফলে আধুনিক পৃথিবীর দিকে মানুষ গতিশীল হয়ে পড়ে । ইউরোপে সমুদ্রযাত্রা এবং নতুন দেশ আবিষ্কা রের র প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় । এই নতুন বিশ্ব আবিষ্কারের পেছনে নানা কারণ বিদ্যমান ছিল ।   নতুন বিশ্ব আবিষ্কারের কারণগুলির মধ্যে প্রথম হল নবজাগরণের প্রভাব । দ্বিতীয় হল বাণিজ্যিক উচ্চাশা এবং বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা । মেনিস ও জেনোয়া প্রাচ্য দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করত । ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে কনস্টান্টিনোপলের পতন ঘট লে তুর্কিদের জয়যাত্রা শুরু হয় । এর ফলে ভূমধ্যসাগরের পথ ইউরোপীয় জাতিগুলির কাছে বন্ধ হয়ে যায় । যার কারণে ইউরোপীয় জাতিগুলি প্রাচ্যদে শে যা তা যাতের বিকল্প পথের অনুসন্ধানের জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ করে । ইউরোপের পশ্চিমে সমুদ্র প্রান্তের দুটি দেশ স্পেন ও পর্তুগাল প্রথম অভিযানে বের হয়। নতুন দেশ আবিষ্কারের পেছনে তৃতীয় কারণ ছিল জা...

আত্মশক্তি আন্দোলন

    তুংচি পুনরুদ্ধারের সীমাবদ্ধতা সত্বেও চীনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায় তারা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন । রক্ষণশীল তুং চি সরকার উপলব্ধি করেছিল যে আ ভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ এবং বৈদেশিক আক্রমণ থেকে চীনের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে রক্ষা করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সামরিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয় । আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যার সাহায্যে চীনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আত্মশক্তি আন্দোলনের সূচনা হয় । তুংচি পুনরুদ্ধারের সময় থেকে উ নি শ শতকের শেষ দিক পর্যন্ত আত্মশক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংস্কার প্রবর্তন , আত্মশক্তি আন্দোলন নামে খ্যাত । এই আত্মশক্তি আন্দোলনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল সীমিত আধুনিকীকরণ ।   আফিম যুদ্ধে বিদেশীদের কাছে পরাস্ত হওয়ায় রাজকুমার kung বিদে শী দের শক্তি ও অনুপ্রবেশের গুরুত্ব উপলব্ধি করে নতুন কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তৎপর হন । তাই পাশ্চাত্য দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে Tsungli Yamen নামক বৈদেশিক দপ্তরের সৃষ্টি করা হয় । ত ত্ত্ব ...

প্রাক আধুনিক যুগে চীনের সামাজিক কাঠামো

      প্রা ক্‌ আধুনিক চীনের সমাজের প্রকৃতি ঐতিহাসিক ও সমাজবিদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কিত বিষয় । মার্কসবাদী ঐতিহাসিকরা যেমন - jean chesnaux ( জাঁ শেনো ), I. Epstein, z. Bozan, Hu Hua চিং বা মাঞ্চু সমাজকে সামন্ততান্ত্রিক ও আমলাতান্ত্রিক ব্যাখ্যা করেছেন । পাশ্চাত্য ঐতিহাসিক Fairbank, I. Cy. Hsu প্রমূখ স ম্ভ্রা ন্ত Gentry বা পন্ডিত ভদ্রলোককে সামাজিক কাঠামোতে প্রাধান্য দিয়েছেন কেননা তাদের মতে Gentry বা পন্ডিত ভদ্রলোকরা ছিলেন চীনের শাসক শ্রেণী ।   প্রা ক্‌ আধুনিক চীনের সমাজ ছিল চিরাচরিত প্রথাভিত্তিক এবং কনফুসীয় নীতি ভিত্তিক । চিনা সমাজ ছিল বহুস্তর বিন্যস্ত সমাজ ও তা ছিল প্রধানত গ্রাম্য । কারণ জনসংখ্যা ৮০ % ছিল কৃষিজীবী । অবশিষ্ট ২০ % বাস করত শহর অঞ্চলে । পেশাগত বিভাজনের ভিত্তিতে এদের কয়েকটি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে যথা - কনফুসীয় শাস্ত্রে পন্ডিত ব্যক্তি (Scholarliterati) , রাজকর্মচারী বা ভদ্রলোক শ্রেণী (Gentry) , অনুপস্থিত জমিদার (Absentee Landlord) , কারিগর , বণিক ও সামরিক শ্রেণি ।   সামাজিক কাঠামোর সর্বোচ্চ স্তরে ছিলেন কনফুসীয় শাস্...