সরকারের কাঠামো :
দেওয়ান-ই উজিরাত : রাজস্ব ব্যবস্থা এবং অর্থ সংক্রান্ত দপ্তর প্রধান ছিলেন ওয়াজির।
দেওয়ান–ই-আর্জ : সামরিক দপ্তর, প্রধান আরিজ-ই মামালিক। (গিয়াসউদ্দিন
বলবন প্রথম এই দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন)
দেওয়ান-ই-ইনসা : সুলতানি সাম্রাজ্যের পত্রালাপের দায়িত্ব পালন করত, প্রধান দেওয়ান ই ইনসা।
দেওয়ান-ই
-রিসালৎ : ধর্মীয় বিষয় সংক্রান্ত দপ্তর,
দায়িত্বে প্রধান কাজই বা মুখ্য সদর।
দেওয়ান-ই-কাজা : বিচারবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত, কাজী
উল কাজাৎ বা প্রধান কাজী।
দেওয়ান-ই-বন্দগান : ভৃত্ত/ক্রীতদাসদের দপ্তর, ফিরোজ শাহ তুঘলক চালু করেছিলেন।
দেওয়ান-ই-আমির কোহি : কৃষি বিভাগ, মহম্মদ বিন তুঘলকের আমলে
সূচনা।
দেওয়ান-ই-মুস্তখরাজ : ভূমিরাজস্ব স্থির করার ও দেখাশোনা করার দপ্তর, আলাউদ্দিন খলজি চালু করেছিলেন আদায়কর্তাদের বকেয়া বোঝার জন্য।
বার-ই-খাস : সুলতান অমাত্যদের গ্রহণ করতেন এই দপ্তরের মাধ্যমে,
(যেমন খান, মালিক)।
বার-ই-আম : এই দপ্তরের মাধ্যমে জনগণের অভাব অভিযোগ গ্রহণ করে সমাধানের
চেষ্টা করতেন।
প্রশাসনিক অফিসার :
ওয়াজির : দেওয়ান উজিরাতের মুখ্য বা
প্রধানমন্ত্রী।
মুস্তাফি-ই-মামালিক : রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের মহা নিরীক্ষক (auditors general)
মুশরিফ-ই-মামালিক : হিসাব-কিতাব এর দায়িত্বপ্রাপ্ত
(accountant and receipt)
আমির-ই-বেহর : নৌ যান
নিয়ন্ত্রক।
মুশতাসিব : পৌর পুলিশের (নগররক্ষীর) দায়িত্বপ্রাপ্ত।
বক্সি-ই-ফৌজ : সেনাবাহিনীর বেতনদানকারী কর্মচারী।
নায়েক-ই-মামালিক /ওয়াজির : সহকারি উজির।
কাজী-উল-কাজাত : প্রধান কাজী।
বারিদ : গুপ্তচর
ওয়াকিয়া নবিশ : সংবাদ সংগ্রাহক
আমিন : জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
আমির-ই-ইমারত : গৃহ নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
সদর-উস-সুদূর : ধর্মীয় কাজের তত্ত্বাবধায়ক।
সর-ই-জান্দার : সুলতানদের দেহরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধায়ক।
ভকিল-ই-দার : সুলতানের প্রাসাদ, রাজকীয় কারখানার তদারক।
কেন্দ্রীয় শাসন :
সুলতান ছিলেন
শাসনব্যবস্থার মধ্যমণি। রাজনৈতিক সামরিক ও আইনগত সব ক্ষমতার উৎস তিনি। রাষ্ট্রের
নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল সুলতানের হাতে। তিনি বিচারকদের নিযুক্ত করতেন ও নিজে আপিল
আদালত হিসেবে কাজ করতেন। গিয়াসউদ্দিন বলবন দাসদের প্রতি দুর্ব্যবহার করার অপরাধে গদায়নের শাসক
মালিক বকবক ও অযোধ্যার শাসক মালিক হাইবৎ খানকে বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন। সুলতান আড়ম্ভর
পূর্ণ রাজসভার মধ্যমণি।
ঐশ্বরিক ক্ষমতা:
ভারতীয় ও ইরানীয় উভয় ধারণা অনুসারে সুলতান ঈশ্বরের অংশ, জিয়াউদ্দিন বারানী ও বলেছেন সুলতানের হৃদয় ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবি, ঈশ্বরের ইচ্ছাই সন্তানের কাজের মধ্যে প্রতিফলিত। সেই কারণেই
তিনি প্রশ্নাতীত। গিয়াসউদ্দিন বলবন ‘জিল আল্লাহ’
উপাধি নেন, যার অর্থ ঈশ্বরের প্রতিবিম্ব। তিনি রাজসভায়
সিজদা ও পাইবস প্রথা (নতজানু হওয়া ও
সুলতানের পদস্পর্শ করা) প্রবর্তন করেন যা একমাত্র আল্লাহ্র প্রাপ্য।
দাসপ্রথা: সতীশ চন্দ্র মনে করেন দাস প্রথা সুলতানের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রশাসনের
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত এই দাসগণ সুলতানের প্রতি সম্পূর্ণভাবে অনুগত
হওয়ায় তার পক্ষে সমগ্র শাসন ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সম্ভব হত। ইলতুৎমিশের
মৃত্যুর পর দাস আমলাদের প্রতিষ্ঠান চিহালগানির অবসান প্রতিষ্ঠানগতভাবে দাসপ্রথাকে
দুর্বল করে দেয়। ফিরোজ তুঘলকের
শাসনকালে দাসদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটলেও তাদের বিশেষ রাজনৈতিক ভূমিকা ছিল না।
সুলতানের ওপর
নিয়ন্ত্রণ রাখত অভিজাতবর্গ। যেহেতু উত্তরাধিকার আইনের অনুপস্থিতি ও নির্বাচন প্রথা
ছিল, তাই অনেক সময় সুলতান মনোনীত প্রার্থীকে
অভিজাতরা নাকোচ করত, যোগ্যতম ব্যক্তি সেক্ষেত্রে সিংহাসনের
দাবিদার হতেন। বলবন সুলতানের অপ্রতিহত ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; আবার মহম্মদ বিন তুঘলকের আমলে অভিজাতরা বিদ্রোহ করেছিল। যাই হোক সমগ্র
সুলতানি যুগে সুলতান তথা রাজতন্ত্র শাসন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
মন্ত্রীবর্গ মন্ত্রীরা
সুলতান কর্তৃক নিযুক্ত হত, তাদের কর্মকাল ও সম্পূর্ণভাবে
সুলতানের ইচ্ছাধীন। মন্ত্রীদের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা ছিল না, ছিলনা মন্ত্রী পরিষদ বা যৌথ নেতৃত্বের ধারণা। গিয়াসউদ্দিন
বলবনের পুত্র বুখরা খান তাঁর পুত্র কায়কোবাদকে চারজন মন্ত্রী নিযুক্ত করার
পরামর্শ দেন। বলবন ও আলাউদ্দিন দিল্লীর কোতয়াল ফকরউদ্দীনের পরামর্শ গ্রহণ করতেন, যদি তিনি কখনও মন্ত্রী ছিলেন না।
ওয়াজির : কেন্দ্রীয় প্রশাসনের মধ্যমনি ছিলেন ওয়াজির। সুলতানি শাসনের
প্রথম দিকে ওয়াজির ছিলেন প্রধানত সামরিক নেতা। খ্রিস্টীয়
চতুর্দশ শতাব্দীতে তাঁকে রাজস্ব দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওয়াজিরের
অধীনে একজন মহানগরিক (মুস্তাফি ই
মামালিক) সরকারি আয় ও একজন মহা নিরীক্ষক (মুশারিফ ই মামালিক) সরকারি ব্যয়ের হিসাবপত্র রাখত।
নিজাম-উল-মূলক তুসী ‘সিয়াসৎনামা’
গ্রন্থে বলেছেন যে, ওয়াজিরকে যোদ্ধা নয়, একজন প্রচুর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পন্ডিত ব্যক্তি হতে হবে। ফিরোজ তুঘলক মন্ত্রী ও আমলাদের পদ বংশানুক্রমিক করে দেন। ফিরোজ তুঘলকের
মৃত্যুর পর ওয়াজিব পদের গুরুত্ব হ্রাস পায়।
দেওয়ান ই আর্জ:
সামরিক বিভাগ বা দেওয়ান-ই-আর্জের প্রধান ছিলেন আরিজ-ই-মামালিক। তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন না, সেনাবাহিনীর সর্বময় কর্তৃত্ব ছিল সুলতানের হাতে। আরিজ-ই-মামালিকের কর্তব্য ছিল সেনানিযুক্তি,
তার অস্ত্রসজ্জা ও বেতনদানের ব্যবস্থা করা। এই দপ্তরটি
গিয়াসউদ্দিন বলবন প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন।
আলাউদ্দিন খলজি
সেনাবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেন। নিয়মিত সেনা
সমাবেশ দুর্নীতি রোধের জন্য সরকারি ঘোড়া চিহ্নিতকরণ, প্রতিটি সেনার একটি বর্ণনাত্মক বিবরণ রক্ষা করা ইত্যাদি
নীতি চালু করেন। আলাউদ্দিনই প্রথম সুলতানের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী সেনাবাহিনী চালু
করেন। নগদ মূল্যে সেনার বেতন দিতেন। উন্নতমানের এই সেনাবাহিনী মোঙ্গল আক্রমণ রোধ ও দক্ষিণ
ভারত জয় করেছিল। মহম্মদ বিন তুঘলক সেনাবাহিনীতে দশমিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। ১০০, ১০০০ প্রভৃতি সংখ্যার সেনাধ্যক্ষের উল্লেখ পাওয়া যায়। সুলতানি
সেনাবাহিনীতে বহু সংখ্যক হাতি ছিল,
অশ্বারোহী বাহিনীতে তুর্কি ও আফগানদের প্রাধান্য ছিল। পদাতিক
বাহিনীতে হিন্দুরাও নিযুক্ত হত। সেনাবাহিনীর এই বিশাল কর্মকান্ড আরিজ-ই-মামালিকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হত।
সতীশ চন্দ্র
দেখিয়েছেন যে, আরিজ ওয়াজিদের ক্ষমতাকে অনেকটাই সংকুচিত
করেছিল। কোনো ওয়াজিদের পক্ষে শক্তিশালী সামরিক নেতা হয়ে ওঠা
সম্ভব হয়নি, যিনি নিজে সিংহাসন অধিকার
করতে পারেন অথবা কোনো মনোনীত ব্যক্তিকে সিংহাসনে স্থাপন করতে পারেন।
দেওয়ান ই রিসালৎ ও
অন্যান্য দপ্তর: দেওয়ান-ই-রিসালৎ ছিল অপর গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর যার দায়িত্বে মুখ্য সদর। ইনি সাধারণত
প্রথম সারির কাজী হতেন (কাজী-উল-কাজাৎ)। ধর্মীয় বিষয়,
উপযুক্ত পন্ডিত ও ধর্মানুরাগী ব্যক্তিদের আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা এই দপ্তরের কাজ
ছিল।
মুখ্যকাজী
(কাজী-উল-কাজাৎ) বিচার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। মুসলিম আইন
বিধি ‘শরীয়ত’ অনুযায়ী
কাজী দেওয়ানি বিচার নিষ্পত্তি করতেন। মুফতি নামক কর্মচারীরা কাজীকে আইনের ব্যাখ্যা
করে বিচারকার্য পরিচালনা করতেন। অ-মুসলমানরা নিজ
নিজ আইনে বিচার পেতেন। গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রামের বিচার ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল।
দেওয়ান-ই-ইনসা সুলতানি সাম্রাজ্যের পত্রালাপের দায়িত্ব
পালন করত। তাকে বলা হত বারিদ-ই-খাস। সুলতানের ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ ও রাজপ্রাসাদের যাবতীয় কার্যকলাপ তত্ত্বাবধানে
দায়িত্ব ছিল ওয়াকিল-ই-দারের। আমির-ই-হাজির
দরবারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলির পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। সুলতানের
উদ্দেশ্যে প্রেরিত যেকোনো আবেদন পত্র তার মাধ্যমে যেত। এছাড়া ছিল
দেওয়ান ই আমির কোহি বা কৃষি বিভাগ,
দিওয়ান-ই-খয়রাৎ বা সরকারি সাহায্য ও
অনুদান বিতরণ বিভাগ, দেওয়ান-ই-ইমারত বা সৌধ নির্মাণ বিভাগ। সরকারি আয়ের হিসাব রাখত মুশরিফ-ই-মামালিক। হিসাব পরীক্ষার
দায়িত্বে মুস্তাফি-ই-মামালিক, কোতোয়াল কোন শহরের অভ্যন্তরীণ
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে থাকত।
প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা:
সুলতানি আমলে
রাজধানীর নিকটবর্তী অঞ্চল সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে থাকত। দূরবর্তী
অঞ্চলে কেন্দ্রের অনুরূপ প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত ছিল।
প্রথমোক্ত করদ
রাজ্যগুলি অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করত। করদ রাজ্যগুলি
যতদিন সুলতানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছে সুলতান তাদের স্বশাসনে কোনো
হস্তক্ষেপ করেনি।
প্রদেশগুলিকে 'ইকতা' নামক সামরিক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করে একজন করে
সামরিক শাসকের অধীনে রাখা হত। সুলতানি সাম্রাজ্যের বিস্তার এবং আঞ্চলিক প্রশাসনের
উন্নতির ফলে পরবর্তীকালে প্রদেশগুলি আরো ছোট এককে বিভক্ত হয়ে যায়। সুলতানি আমলে
প্রদেশগুলি বিভক্ত ছিল শিকে। শিকদার ছিলেন শিকের শাসনকর্তা ও গ্রাম প্রশাসন দেখাশোনা
করত আমিল। গ্রামীণ এলাকার শাসনভার অনেক সময় গ্রাম পঞ্চায়েতের ওপর ন্যস্ত হত। চৌকিদার
গ্রামাঞ্চলে পুলিশি দায়িত্ব পালন করত। সুলতানি যুগে গ্রামগুলি তাদের স্বাধিকার বজায় রাখতে
সক্ষম হয়েছিল।
প্রাদেশিক
শাসকগণ নিজেদের প্রদেশে প্রশাসনিক, বিচার ও যুদ্ধ সংক্রান্ত
বিষয়ে সব ক্ষমতার অধিকারী ছিল। কিন্তু তাদের নিযুক্তি বদল, পদচ্যুতি সবকিছুই নির্ভর করত সুলতানের ইচ্ছার ওপর। তবে দিল্লির
দুর্বল সুলতানদের শাসনকালে প্রাদেশিক শাসকদের স্বাধীন হয়ে ওঠার প্রবণতা সমগ্র
সুলতানি আমলে লক্ষ্য করা যায়।
প্রাদেশিক
কর্মচারী : পরগনার কর্মচারীদের প্রধান ছিলেন আমিল। আমিলের
নেতৃত্বে একটি কর্মগোষ্ঠী কাজ করত। পরগণার অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারীদের মধ্যে ছিলেন মুশারিফ,
হিসাবরক্ষক, দুজন কারকুন, কানুনগো ইত্যাদি।
মুশারিফ : প্রধান কাজ রাজস্ব নির্ধারণ। মুশারিফকে সৎ, বিশ্বস্ত (আমিন) বা ন্যায়পরায়ণ
(মুনসেফ) নামে অভিহিত করার দৃষ্টান্তে বোঝা
যায় যে, সুলতানি আমলে উৎপাদকদের প্রতি সরকারের আচরণ ছিল
মোটামুটি সহনশীল ও যুক্তিপূর্ণ।
কারকুন : দুজন কারকুন বা নথি লেখক ফার্সী ও হিন্দিতে পরগনার নথিপত্র
লিপিবদ্ধ করতেন, এইজন্য তারা যথাক্রমে 'ফার্সীনবিশ' ও 'হিন্দিনবিশ' নামে পরিচিত ছিলেন।
কানুনগো : পূর্ববর্তী বছরগুলির উৎপাদন ও নির্ধারিত পরের হিসাব রক্ষা
করতেন।
চৌধুরী : সম্ভবত উৎপাদক ও সরকারের মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করতেন।
গ্রাম : গ্রামের
মুখ্য আধিকারিক গ্রাম প্রধান। তাকে সাহায্য করতেন 'পাটোয়ারী' বা হিসাবরক্ষক।
মূল্যায়ন: সুলতানি শাসন
ব্যবস্থার সঙ্গে প্রাক্ সুলতানি যুগের ভারতীয় শাসন পদ্ধতির
কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। উভয় ক্ষেত্রেই রাজা বা সুলতান প্রশাসন সেনাবাহিনী ও
বিচার ব্যবস্থার প্রধান। উভয় ক্ষেত্রেই একদল মন্ত্রী তাঁদের শাসন পরিচালনায়
সাহায্য করত। নিচুস্তরের প্রশাসনিক রীতিনীতিতে বিশেষ কোনো পরিবর্তন আসেনি। যেমন ভূমি
রাজস্ব একই পদ্ধতিতে কমবেশি একই ধরনের কর্মচারীদের দ্বারা সংগ্রহ হত। নিচুস্তরের
প্রশাসনিক পদ্ধতিকে অপরিবর্তিত রাখায় ভারতের গ্রামাঞ্চলে তুর্কি শাসন প্রতিষ্ঠার
কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন