সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নূরজাহান চক্র অথবা নূরজাহানের শাসন সম্পর্কে আলোচনা কর

    গ্রিক মহাকাব্যের হেলেন , রামায়ণের সীতা ও মহাভারতের দ্রৌপদীর সৌন্দর্য যেমন তদানীন্তন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছিল , তেমনি মুঘল আমলে অসামান্য রূপসী নূ রজাহান তাঁ র রূপের জালে সম্রাট জাহাঙ্গীর ও তাঁ র রাষ্ট্রব্যবস্থাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল । মধ্য যুগে ভারতীয় ইতিহাসে যে কজন নারী রাজনীতির আঙিনায় পদ সঞ্চা রণ করেছিল তাঁ দের মধ্যে সর্বাধিক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হলেন নূ রজাহান । ড . বেণী প্রসাদ যাঁ কে মধ্যযুগের ভারত ইতিহাসে সবচেয়ে রোমান্টিক ব্যক্তিত্ব বলেছেন । রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতি নির্ধারণের ব্যাপারে নূ রজাহানের সম্পর্কে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে । জাহাঙ্গী রে র উপরে তাঁ র ব্যক্তিগত প্রভাব কী ভাবে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং কর্তৃত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত হয় তা নিয়ে । এই স্বভাবের আশু ফল হিসাবে যা বলা যায় বা দেখা যায় তা হ ল তাঁ র নিকট আত্মীয় স্বজনকে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্ব এক গোষ্ঠীর হাতে আনা । ইতিহাসে যা নূ রজাহান জুন্টা বা নূরজাহান চক্র নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে ।   মুঘল ভারতের ইতিহাসে জাহাঙ্গী রে র সঙ্গে নূ রজাহানের ...

শাহজাহানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত নীতি

  উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত নীতিকে কান্দাহার অঞ্চলের প্রতি অনুষ্ঠিত নীতি ও বলা যেতে পারে । সুপ্রাচীন কাল থেকে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত আ র্থ - সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল কান্দাহারকে কেন্দ্র করে এই নীতি আবর্তিত হয়েছিল । উত্তর , উত্তর - পূর্ব ও উত্তর-পশ্চি মে দূরতিক্রম্য হিমালয় ও তার শাখা-প্রশাখা এবং পশ্চিম , দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে সাগরমালা বহিরাক্রমণ থেকে ভারতবর্ষকে প্রাকৃতিক নিরাপত্তা দান করেছে । কিন্তু হিমালয়ের খাইবার , গোলাম ও বো লা ন ইত্যাদি গিরিপথ দিয়ে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে বিদেশীরা ভারতবর্ষকে আক্রমণ করে এসেছে । এই উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত পথেই আক্রমণকারীর বেশে এসেছিল পারসিক , গ্রী ক , কুষাণ , শক , হুন , পাঠান ও মুঘল । কান্দাহারের গুরুত্ব উপলব্ধি করে মুসলিম শাসক দে র মধ্যে বলবন ও আলাউদ্দিন ই প্রথম উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা র জন্য সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন । পরবর্তীকালে মুঘলরাও উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের গুরুত্ব উপলব্ধি করে কান্দাহারকে করায়ত্ত করার চেষ্টা চালিয়ে ছেন, এই কাজে প্রথম সক্রিয় পদক্ষেপ নেন সম্রাট শাহজাহান । সমকালীন লেখক ...

দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধের গুরুত্ব

  প্রথম পানিপথের যুদ্ধের পর বাবর ( ১৫২৬ ) মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধের ( ১৫৫৬ ) পর মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে ছিল । প্রথম পানিপথের যুদ্ধে বাবর সুলতানি বংশের শেষ শাসক ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করেছিল , তার ত্রিশ বছর পর বৈরাম খাঁ নেতৃত্বে নাবালক সম্রাট আকব রের শাসনকালে আফগান সেনাপতি হিমুকে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধ মুঘলরা জয়লাভ করে । হুমায়ুনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরই আফগান সেনাপতি হিমু আগ্রা অভিমুখে অগ্রসর হয়ে ঐ শহর দখল করেন । এরপর হিমু দিল্লি অভিমুখে অগ্রসর হলে মুঘল গভর্নর তরদি বেগ যুদ্ধ না করে পলায়ন করেন । হিমু বিনা বাধায় দিল্লি দখল করে ' রাজা বিক্রমাদিত্য ' উপাধি নিয়ে সিংহাসনে আরোহন করেন । হিমুর আগ্রা ও দিল্লি অধিকা রে র ফলে আকবর তথা বৈরাম খাঁকে বিচলিত করে । বৈরাম খাঁ হিমুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেন এবং আকবরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতে থাকেন । শেষ পর্যন্ত ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে নভেম্বর মাসে পানিপথে প্রান্তরে আকবর ও হিমুর মধ্যে যুদ্ধের সূচনা হয় । প্রাথমিক পর্বে যুদ্ধে হিমু সাফল্য লাভ করল...