সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

দক্ষিণ ভারতে আঞ্চলিক শক্তির উত্থান এবং সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম

      উপদ্বীপীয় দক্ষিণ ভারতকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় – ক ) উত্তরে বিন্ধ্য পর্বতমালা থেকে দক্ষিনে কৃষ্ণানদী মধ্যবর্তী অঞ্চলকে সাধারণভাবে বলা হয় দাক্ষিণাত্য , যার অন্তর্ভুক্ত হল বর্তমান মহারাষ্ট্র , অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকের অংশবিশেষ । খ ) কৃষ্ণার দক্ষিণ দিকে কন্যাকুমারি পর্যন্ত অঞ্চল ঐতিহাসিক পরিভাষায় পরিচিত সুদূর দক্ষিণ হিসাবে বর্তমান কর্নাটকের অংশবিশেষ , অন্ধ্র দক্ষিণাংশ , তামিলনাড়ু ও কেরালা সুদূর দক্ষিণের অন্তর্ভুক্ত । ৬০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তীকালীন সময়ে দাক্ষিণাত্য এবং সুদূর দক্ষিনে অনেকগুলি রাজবংশ পর্যায়ক্রমে রাজত্ব করেছিল । রাজবংশগুলির মধ্যে বাদামির চালুক্য, রাষ্ট্রকূট, কল্যাণীর চালুক্য, বেঙ্গির চালুক্য, পল্লব, চোল, পান্ড্যরা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠলেও কারোর পক্ষেই সমগ্র দক্ষিণ ভারত জুড়ে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি । এখানে দক্ষিণ ভারতের শক্তিশালী রাজবংশগুলির ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা করা হল। গুপ্তদের সমসাময়িক সময়ে মধ্যভারত ও দাক্ষিণাত্য অঞ্চলটি শাসন করত বাকাটক রাজ বংশ । খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে বাকাটকদের পতন ঘটে এবং দাক্ষিণা...

সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ৭৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কালীর সময় উত্তর ভারত

    আনুমানিক ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের অল্পকাল পর থেকেই উত্তর ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল কনৌজ ও তৎসন্নিহিত অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তিনটি রাজবংশের মধ্যে ধারাবাহিক সংগ্রাম । এই তিনটি রাজবংশ হলো বাংলা - বিহারের পাল রাজবংশ, গুজরাট - রাজস্থান - পাঞ্জাব অঞ্চলের গুর্জর প্রতিহার বংশ এবং দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রকূট বংশ। ত্রিশক্তি সংঘর্ষ নামে পরিচিত এই সাম্রাজিক সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপালের পুত্র ধর্মপাল ( ৭৭৫ - ৮১০ খ্রি ) এর আমলে । হর্ষবর্ধনের সময় থেকে উত্তর ভারতের প্রধান রাজনৈতিক কেন্দ্র কনৌজ বা ‘ মহোদয় - শ্রী' অধিকার করার স্বপ্নে বিভোর ধর্মপাল প্রথম পর্বেই বাধা পান সমসাময়িক প্রতিহার রাজ বৎসরাজের দ্বারা । বৎসরাজ সমসাময়িক কালে কনৌজের শাসক ইন্দ্রায়ুধের(জিনসেনের হরিবংশ ) সমর্থনে এগিয়ে এসে ধর্মপালকে পরাজিত করলেও নিজে রাষ্ট্রকূট রাজ ধ্রুবের কাছে পরাজিত হয়ে রাজস্থানের মরুভূমিতে আশ্রয় নেন ( তৃতীয় গোবিন্দের ওয়ানি ও রবনপুর তাম্র শাসন ) । এরপর রাষ্ট্রকূটরাজ ধ্রুব গৌড়রাজ ধর্মপালকেও পরাজিত করে নিজ রাজ্যে ফিরে গিয়েছিলেন ( অমোঘব...