১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পরিচালনায় রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যা য়ে র নেতৃত্বে সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় মহেঞ্জোদারো নামক স্থানে একটি নগ রে র ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয় । এর ঠিক আগের বছর অর্থাৎ ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে দয়ারাম সাহানি পাঞ্জাবের মন্টগোমা রী জেলার হরপ্পায় প্রায় অনুরূপ নগ রে র ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছিলেন । এই দুই আবিষ্কার একদিকে যেমন ভারতীয় ইতিহাসের প্রাচীন ত্বের সীমাকে এক ধাক্কায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে স্থানান্তরিত করে , তেমনি স্যার জন মার্শাল, মার্টিমার হুইলার, এস. আর . রাও , জে . পি. জোসি , ড . এ . ঘোষ প্রমুখ প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই আবিষ্কার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে নতুন উদ্যমে খননকার্য চালাতে থাকেন । এর ফলে পরবর্তীকালে চানহুদারো , ঝুকার ( পাকিস্তান সিন্ধু ) বোপার , বানওয়ালি, রংপুর , সুরকোটডা , লোথাল ( গুজরাট ), দাইমাবাদ , ধোলাবিরা , কালিবঙ্গান , কুনতাসি প্রভৃতি স্থানে নাগরিক সভ্যতা র অনুরূপ ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয় । প্রাথমিকভাবে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করতেন যে এই সুপ্রাচীন সভ্যতা কেবলমাত্র সিন্ধু ন দে র উপত্যাকা অঞ্চলে ই বিস্তৃত ...