সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সমরনায়কতন্ত্রের উদ্ভবের কারণ

    চীনের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯১৬ থেকে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছিল ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র রূপে চীনের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার ইতিহাস । শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শক্তির অভাবের ফলে কেন্দ্রাতিক বা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির উত্থান ঘটে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে । এইরূপ অবস্থায় দেশের বিভিন্ন প্রদেশে সমরপ্রভুদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয় । সমর প্রভুরা নিজেদের ক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় যার পরিণতি রূপে প্রজাতান্ত্রিক চীনের ইতিহাসে অন্ধকার যুগের সূচনা হয়। । কেন্দ্রীয় পিকিং শক্তির দুর্বলতা এবং আর্থিক ও সামরিক দিক থেকে প্রদেশ গুলির উপর অধিক নির্ভরতা সমনায়কতন্ত্রের উদ্ভবের পথ প্রস্তুত করে । একটু পিছনে গিয়ে দেখলে দেখা যায় যে ১৯১১-১২ খ্রিস্টাব্দে চীনে প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই চীনের প্রদেশগুলিতে সামরিকিকীকরণ ঘটতে থাকে । প্রজাতান্ত্রিক বিপ্লবের পিছনে সাফল্যের ক্ষেত্রে বিদ্রোহী সেনাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল, তারাই ছিল প্রকৃত সাফল্যের কারিগর । প্রজাতান্ত্রিক সরকার সুষ্ঠু শাসনব্যবস্থা প্রদানে অক্ষম হলে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে । এই আইনশৃ...

বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার ওপর একটি টীকা

  বিশ্বায়ন এমন একটি অমক ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া যার সঙ্গে রাজনীতি সংস্কৃতি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় যুক্ত থাকলেও এটির চরিত্র ছিল মূলত অর্থনৈতিক । অল্প কথায় বিশ্বায়ন হলো বিশ্বজুড়ে বাজার অর্থনীতির নজিরবিহীন বিস্তারের প্রেক্ষিতে উৎপাদন ও মূলধনের আন্ত : রাষ্ট্রীয়করণ। বর্তমানে বিশ্বায়ন কথাটি বহু আলোচিত এক শব্দ । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিল্প বাণিজ্য সংস্থার চত্বরে বিশ্বায়নের উপর আলোচনা ও বিতর্ক চলছে , সর্বস্তরের মানুষ এর সুফল ও কুফল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী । উন্নত দেশগুলি বিশ্বায়নের পক্ষে ঢাকঢোল পেটাচ্ছে এবং অন্যদিকে তৃতীয় বিশ্বের মানুষেরা বিশ্বায়নের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে প্রমাদ গুনছে, প্রকৃতপক্ষে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে বিশ্বায়নকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে । একথা অস্বীকার করা যাবে না যুগ ধর্মের প্রয়োজনে রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন নতুন ধ্যান ধারণা গড়ে ওঠে । পুরাতন চিন্তা ভাবনাকে সরিয়ে দিয়ে নতুন চিন্তা ভাবনা জায়গা করে নেয় । বিশ্বায়ন কথাটি ঠিক তেমনি বর্তমান যুগের পরিবর্তন পরিস্থিতির অনিবার্য ফলশ্রুতি । বর্তমানে আমরা এক আন্তর্জাতিক ব্য...

ভারতের আদি মধ্যযুগ – সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য

    ট্রুয়ার্ট মিল তাঁ র ১৮১৮ সালের প্রকাশিত 'History of India' নামক গ্রন্থে ভারতবর্ষের ইতিহাসকে তিনটি ভাগ করেন – হিন্দু যুগ , মুসলিম যুগ এবং ব্রিটিশ যুগ । ইংরেজ ঐতিহাসিকদের মধ্যে অবশ্য অনেকেই বলেন যে ব্রিটিশ ভারতের আগে ভারতের ইতিহাসে কোন পরিবর্তনই ঘটেনি তা ছিল গতানুগতিক । বিভাজনের উপর ভিত্তি করে ই পরবর্তী ঐতিহাসিকরা ভারতবর্ষের ইতিহাস কে তিনটি পৃথক যুগে ভাগ করেন । যথা প্রাচীন যুগ ( শুরু থেকে ১২০৩ খ্রিস্টাব্দ অর্থাৎ হিন্দু রাজাদের দ্বারা শাসিত ভারত ), মধ্যযুগ ( ১২০৩ থেকে ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দ অর্থাৎ মুসলিম শাসিত ভারত ) এবং আধুনিক যুগ ( ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসিত ভারত ) । রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় , রমেশ চন্দ্র মজুমদার , রামশরণ ত্রিপাঠী, অশোক কুমার মজুমদার , কা লী কি ঙ্ক র দত্ত প্রমূখ জাতীয়তাবাদী অন্যান্য ঘরানার ঐতিহাসিকরা ও এই যুগ বিভাজনকে মোটের উপর তাঁ দের রচনায় রেখেছিলেন । রামশরণ শর্মা, ইরফান হাবিব , নীহাররঞ্জন রায় প্রমুখ মার্কসবাদী এবং অন্যান্য ধারার ঐতিহাসিকরা বিংশ শতকের মাঝামাঝি থেকে এই যুগ বিভাজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । তাঁদের সার কথ...